
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের উপজেলার মহিমাগঞ্জের একটি আবাসিক এলাকার সাতটি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা দেওয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। একাধিকবার অনুষ্ঠিত শালিসে রাস্তা দেয়ার অঙ্গীকার করেও বারবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় বিক্ষুদ্ধ ভূক্তভোগীরা গত সোমবার (০৯ মে) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে রাস্তাটি খুলে দেয়ার দাবী জানিয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। সম্প্রতি আবার ইটের দেওয়াল তুলে রাস্তাটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ায় বেশ কয়েকজন স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ ওই পরিবারগুলোর বিভিন্ন বয়সী সদস্যরা এক প্রকার বন্দী জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১০ মে) সংবাদকর্মীরা উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর আগপাড়া এলাকায় গেলে ভূক্তভোগীরা জানান, বিগত ১৫-২০ বছর ধরে ওই এলাকায় পরিবারগুলো বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। কুড়িগ্রাম থেকে এই এলাকায় আসা সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করা তৎকালীন শিবির ক্যাডার, রেললাইনে নাশকতাসহ ৭ মামলার আসামী ও বর্তমানের জামাত নেতা এবিএম আবুল বাশার ফিরোজ ওরফে ফিরোজ কবির ওরফে ফিরোজ মিয়া সম্প্রতি তার বাড়ির পাশের্^র রাস্তাটি দেওয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়। মহিমাগঞ্জ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ওই পাড়ার বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, একই মৌজার জমি বাড়ি নির্মানের জন্য কেনা হয় বেশ আগে। তখন সামনের অংশের মালিক ওই জামাত নেতা চুক্তি অনুযায়ী রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন মামলা থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে পিছনের অংশে বসবাসকারী সাত পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা দেওয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস অনুষ্ঠিত হলে সে তখন রাস্তা ছেড়ে দেয়ার কথা অঙ্গীকার করলেও পরে আর রাস্তা খুলে দেয় না। অনেক অনুরোধেও রাস্তা না পাওয়ায় ভূক্তভোগীরা এবার ইউএনও বরাবরে অভিযোগ করেছেন। এ সময় অবরুদ্ধ বাড়িগুলোর বাসিন্দা ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাফুজা খাতুন, ৪র্থ শ্রেণির তৃষ্ণা খাতুন, রিসাত বাবু, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিংকু ও অশীতিপর বৃদ্ধা জোসনা বেওয়া তাদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।