
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃউত্তরাঞ্চলে সনামধন্য জেলা গাইবান্ধা।কৃষি কাজে নিয়োজিত থাকে প্রায় অধিকাংশ মানুষ।তার মধ্যে কলা,পাট,ভুট্টা,গম,ধান,পান বরজসহ অনেক রবিশস্য।এই জেলার কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বুকের সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে দিয়ে ফসল ফলাতে চেষ্টা করেন।জেলা থেকে নানাদি রবিশস্য নিজের জেলার চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে থাকে।কিন্ত দিন দিন লাভজনক ফসল কলা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক। বৈশাখের ঝড়োহাওয়া,ভাদ্রের কলা পাকা ভাইরাস ও সময় অসময়ে পানামা নামক ভাইরাসের সংক্রমণে কলা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কৃষক।এক সময়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী,গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতোলা এবং রংপুর বিভাগের পিরগঞ্জের জামতোলা বৃহত্তর কলা হাট লাগতো।প্রতিদিন শতশত কলা যেত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছিলো হাজারো মানুষের।লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ডাকা হতো হাট।সরকারি কোষাগারে জমা হতো এসব টাকা।কিন্তু সময়ে ব্যবধানে এবং কৃষি অফিসের সহোযোগিতা না পাওয়ায় আজ এই লাভজনক ফসলাদি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কৃষক।এই বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষিকর্মকর্তা শামসুন্নাহার সাথী জানান বর্তমানে এই উপজেলায় ২৬০ একর জমিতে কলা চাষ হচ্ছে।তবে পূর্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় যে রঙিন সাগর কলা, তা পলাশবাড়ীতে প্রায় বিলুপ্তর পথে।যেটুকু ও হচ্ছে বর্তমানে চাম্পা ও অনুপম কলা চাষ একটু বেশি হচ্ছে। কৃষি প্রণোদনা কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন কলা চাষে কোন প্রণোদনা নেই তবে আমরা সঠিক পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি