
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলা শহর হতে পলাশবাড়ী পর্যন্ত রাস্তার মাঝে ঢোলভাংঙ্গা-সাঁকোয়া ব্রীজ এলাকায় ইপিজেড (ঊচত) বাস্তবায়নের দাবীতে আজ শনিবার সকাল ১১টা হইতে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢোলভাংঙ্গায় গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ইপিজেড বাস্তবায়ন মে র আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড একরাম হোসেন বাদল হাজ্বীর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গাইবান্ধা পলাশবড়ির মধ্যবর্তি সকোয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় প্রস্তাবিত ইপিজেড নির্মানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু , সি,পিবি গাইবান্ধা জেলা সভাপতি ও সি,পি,বি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মিহির ঘোষ।
জাসদ গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম ফারুক মনা, গাইবান্ধা ওয়ার্কাস পার্টি (মার্কসবাদী)
এর সাঃ সম্পাদক মৃদুল কান্তি , গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির
তনু সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন । স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিপিবি পলাশবাড়ী উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আদিল-নান্নু , সহ সম্পাদক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান খান সুজন। স্থানীয় আয়ামীলীগ নেতা চ ল তালুকদার সহ আরও অনেক ব্যক্তি বর্গ । সমগ্র অনুষ্ঠানটি স ালনা করেন ছাত্র নেতা আবদুল ওয়ারেস। সমাবেশে বক্তাগণ, গাইবান্ধা জেলার ভূতপূর্ব ডিসি ড,কাজী আনোয়ারুল হক সাহেবের প্রস্তাবিত গাইবান্ধার সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানায়।এছাড়াও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিতর্কিত স্থান হিসাবে খ্যাত গোবিন্দগঞ্জের বাগদাফার্ম এলাকায় আদিবাসী সাঁওতালদের রক্তস্নাত মাটিতে ইপিজেড নির্মাণএর চক্রান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয় এ গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে।
সাড়ে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন হলেও প্রকল্পের হদিস নেই; সাদুল্লাপুরে দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান স্বাধীনকে শোকজ
ছদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা ঃ প্রকল্প গ্রহণ না করেই গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে ভূমি হস্তান্তর কর (১%) বরাদ্দের সাড়ে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে ৩ নং দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনের বিরুদ্ধে । গত এক বছরে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৫টি বেয়ারার চেকে এই টাকা তুলে নিয়েছেন চেয়ারম্যান। অথচ বরাদ্দের এই টাকা পরিষদের ক্যাশ বইয়ে তোলা কিংবা ব্যাংক হিসেবেও জমা করা হয়নি। এমনকি টাকার বিপরীতে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ভ্যাট ও আয়কর বরাদ্দের ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৩ টাকা নির্দেশনা সত্বেও সংশ্লিষ্ট হিসেবে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চেয়ারমান স্বাধীনের বিরুদ্ধে। গত ৫ সেপ্টেম্বর এলজিএসপি-৩ এর উপপ্রকল্প পরিচালক রাহেনুল ইসলামের পরিদর্শন প্রতিবেদনেও এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এতোদিন ঘটনা গোপন থাকলেও গত ১৪ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রোখছানা বেগমের ইউনিয়ন পরিদর্শনকালে এসব আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ে। এ নিয়ে রোকসানা বেগম গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করে সাতদিনের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন।
চেয়ারম্যান স্বাধীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী যুবলীগের সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদেও আছেন। অভিযোগ রয়েছে, পাঁচ দফায় এই টাকা উত্তোলনের ঘটনায় ইউএনও’র অফিস সহকারী আব্দুল বারির যোগসাজস রয়েছে। ভাগবাটোয়ার উদ্দেশ্যে সুযোগমতো বেয়ারার চেকগুলো উপস্থাপন করেই ইউএনও’র স্বাক্ষর নেয় আব্দুল বারি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী পরিষদের
সচিব ও চেয়ারম্যানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নামে এ্যাকাউন্ট পে চেক প্রদানে এই টাকা উত্তোলনের কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩ নং দামোদরপুর ইউনিয়নে ভূমি হন্তান্তর কর (১%) বরাদ্দের মোট ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার অনুকূলে ৫টি বেয়ারার চেক ইন্স্যু করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। এরমধ্যে ২০২০ সালের ২৬ আগষ্ট ৩ লাখ, ৪ অক্টোবর ৩ লাখ ৫০ হাজার ও ২২ ডিসেম্বর ৪ লাখ টাকার তিনটি বেয়ারার চেক দেয়া হয়।
এছাড়া চলতি বছরের ৫ মে ৪ লাখ ও ৫ জুলাই দেয়া হয় আরও ৪ লাখ টাকার দুটি বেয়ারার চেক। চেক প্রাপ্তির তারিখেই সোনালী ব্যাংক সাদুল্লাপুর শাখায় অন্য গ্রাহকের হিসাব নাম্বারে চেয়ারম্যান স্বাধীন চেকগুলো জমা করে এসব টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দের টাকা গোপনে তুলে নেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে পরিষদের মেম্বারসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শোকজ নোটিশ পেয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখাতে চেয়ারম্যান স্বাধীন গোপনে নিজের লোকদের টিউবয়েল ও স্প্রে মেশিন বিতরণের অভিযোগ করেন কয়েকজন ইউপি সদস্য।
এ বিষয়ে গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রোখছানা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনকালে নথিপত্র যাচাই করে যেসব তথ্য-উপাক্ত পাওয়া গেছে তা যথাযথ ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে জবাব দখিল করতে বলা হয়েছে। জবাবের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তবে অভিযোগে বিষয়ে জানতে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনের মুঠফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিকের সাথে পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।