ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধার ফুলছড়িতে আজ বুধবার থেকে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হচ্ছে।
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৪টি জোনে প্রায় ৪৪ হাজার খানা পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করবে ৪২১ জন তথ্য সংগ্রহকারী। তাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে ৪ জন আইটিসহ ৭৩ জন সুপারভাইজার। সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে শুমারির কাজে নিয়োজিত তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার সহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৪টি জোনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, কঞ্চিপাড়া ও উড়িয়া ইউনিয়নের জোনাল কর্মকর্তা মঞ্জিল হোসেন, উদাখালী ও গজারিয়া ইউনিয়নের জোনাল কর্মকর্তা সাকোয়াত হোসেন, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের জোনাল কর্মকর্তা রাশেদ আহমেদ, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জোনাল কর্মকর্তা সুজানুর রহমান।
উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি ১০ বছর পর পর আমাদের দেশে আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এবার নাম পরিবর্তন করে জনশুমারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের শুমারি নানা কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে দেশের সব মানুষকে উন্নয়নের অংশীদার করার প্রয়োজন রয়েছে। আগামী ১০ বছর দেশের স্থানীয় পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, তাতে তাঁদের কথা তুলে ধরতে হবে। এই তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সরবরাহ করবে। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এই তথ্য দেবে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ থেকে। সরকার এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে।