
*রোনালদো মেসি*
পরিবর্তন ডেস্কঃ
মাত্র সপ্তাহদুয়েকের ব্যবধান। দুটো তোলপাড় করা ঘটনার সাক্ষী থাকল ফুটবলবিশ্ব। ছোটবেলার ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে প্রেমের শহর প্যারিসে পাড়ি দিলেন লিয়োনেল মেসি। তার কয়েক দিন পরেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও নিজের আস্তানা বদলালেন। তুরিন থেকে তিনি এখন ম্যাঞ্চেস্টার-নিবাসী, যে শহর তাঁর অতি পরিচিত। অন্যদিকে, প্যারিসও মেসির কাছে নতুন নয়।
এ শহরে তাঁকে আগে বার বার আসতে হয়েছে বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কার নিতে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগেই যাঁর জুভেন্টাসে থাকা নিশ্চিত ছিল, সেই রোনাল্ডো রাতারাতি এ ভাবে দল বদলালেন কেন? সেটাও কি মেসিকে দেখে? জুভেন্টাসে সে ভাবে নজরে পড়বেন না ভেবেই কি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন রোনাল্ডো? শুক্রবারের পর থেকে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। অনুরাগীরা সেই পুরনো মেসি-রোনাল্ডো যুদ্ধের গন্ধই আবার পাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২০২১ বিখ্যাত হয়ে থাকবে অনেক কারণে। মেসির হাতে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি ওঠা তো আছেই। পাশাপাশি একই বছরে মেসি এবং রোনাল্ডোর ক্লাব বদল ভবিষ্যতে আর কোনও দিন দেখা যাবে বলে মনে হয় না। দু’জনেই কেরিয়ারের শেষ বেলায় এসে পৌঁছেছেন। রোনাল্ডোর হাতে সময় আরও কম। কারণ তিনি বয়স অনুপাতে মেসির ‘দাদা’। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডেই হয়তো তাঁর ফুটবল জীবনের শেষ অধ্যায় লেখা হয়ে যাবে। আর্জেন্টিনীয় ফুটবলারও হয়তো তাঁর বাঁ পায়ের শিল্পকলার শেষ ছাপ রেখে যাবেন ভাস্কর্যের শহরে।
তবে একটি ব্যাপারে দু’জনের মিল রয়েছে। এ বার দু’জনের দলবদলই আকস্মিক। প্রাক্তন ক্লাব সভাপতির সঙ্গে মেসির বিবাদ থাকলেও নতুন সভাপতির সঙ্গে মেসির মধুর সম্পর্ক ছিল। চুক্তি সই প্রায় পাকা। আচমকাই জানা গেল, নিয়মের ফাঁদে বার্সেলোনা তাঁকে রাখতে পারছে না। দাবানলের মতো খবর ছড়িয়ে পড়ামাত্রই বার্সেলোনা সমর্থকদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল। শেষ সাংবাদিক বৈঠকে চোখের জলে ভাসলেন মেসি। দু’দিন পরেই দেখা গেল হাসিমুখ। নতুন অনুরাগী, নতুন ভক্তদের অভ্যর্থনা সাদরে গ্রহণ করলেন। বার্সেলোনা তত দিনে অতীত।