ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বন্দে আলীর পরিবারে ৩ দফা হামলার ঘটনায় ঐ গ্রাম পুলিশসহ পরিবারের ৪ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে এক প্রতিবেশীর মোটরসাইকেলযোগ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময় পথরোধ করে বেধরক মারপিটের ঘটনায় গুরুতর আহত গ্রাম পুলিশ বন্দে আলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এরআগে রবিবার রাতে স্থানীয় চৈতন্য বাজারে পৌছিলে সংঘবদ্ধ হামলাকারীরা গ্রাম পুলিশের ছেলে রমজান আলী ও ভাতিজা আসাদুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। যখমীদ্বয় বর্তমানের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার সকালে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী আবুল কালাম আজাদের ছেলে জীম মিয়া (২৪) গ্রাম পুলিশ বন্দে আলীর ছোটভাই সাহেব আলী (৫৫) কে বেধরক মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হলেও জীম ও তার দলের লোকজন সাহেব আলীকে কোথাও কোন চিকিৎসা গ্রহণের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি।
৩ দফা হামলার ঘটনায় গ্রাম পুলিশ বন্দে আলী, তার ছেলে রমজান আলী ও ভাতিজা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাহেব আলী বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। এ ঘটনায় তারাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ’র সভাপতি আজমুল হোসেন পলাশকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন গ্রাম পুলিশ বন্দে আলী।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা হলে আজমল হাসেন পলাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। উপজেলা গ্রাম পুলিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রশাসনের প্রতি মামলা গ্রহণ পূর্বক অবিলম্বে আসামীদের গ্রেপ্তারে দাবী জানান। থানার এসআই হাসিবুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছি। যে পর্যন্ত তথ্য প্রমাণ পেয়েছি তাতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আব্দুল আজিজ গ্রাম পুলিশ বন্দে আলীর লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি জানতে পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।